ওয়াক্‌ফ বা বিরাম চিহ্ন

পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা - কুরআন মজিদ শিক্ষা | NCTB BOOK
5.7k
Summary

ওয়াক্ফ বা বিরামচিহ্ন কুরআন মজিদে শুদ্ধ তিলাওয়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো নির্দেশ করে কোথায় থামতে হবে এবং কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাবে। ওয়াক্ফের মূল উদ্দেশ্য হলো আরবি না জানা ব্যক্তিরা বুঝতে পারে কোথায় থামতে হবে। প্রথমবার এ চিহ্ন ব্যবহারের জন্য আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে তাইফুরের নাম উল্লেখ করা হয়।

ওয়াক্ফের বিভিন্ন প্রকার:

  • ওয়াক্ফ তাম: আয়াতের শেষে থাকে, যেখানে অবশ্যই থামতে হবে।
  • ওয়াক্ফ লাজিম: এখানে থামা আবশ্যক; না থামলে অর্থ বিকৃত হতে পারে।
  • ওয়াক্ফ মুতলাক: এখানে বিরতি নেওয়া উত্তম।
  • ওয়াক্ফ জায়েজ: থামা ও না থামা উভয় অনুমতি আছে, তবে থামা ভালো।
  • ওয়াক্ফ মুজাওয়াজ: এখানে না থামাই ভালো।
  • ওয়াক্ফ মুরাখখাস: এখানে মিলিয়ে পড়া উত্তম, তবে দমে না কুলালে থামা যায়।

পরিকল্পিত কাজ: শিক্ষার্থীরা দলের মধ্যে ওয়াক্ফের বিবরণসহ একটি তালিকা তৈরি করে পোস্টার পেপারে লিখবে।

ওয়াক্ফ বা বিরামচিহ্ন

কুরআন মজিদ শুদ্ধ তিলাওয়াতের জন্য আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এ চিহ্নগুলোর দ্বারা কোথায় ৰামতে হবে, কোন জায়গায় কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাবে তা নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিরামচিহ্নকে ওয়াক্ফ বলা হয় ৷

বিরামচিহ্ন দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, একজন আরবি না জানা লোকও যেন সহজে বোঝাতে পারেন কোথায় কতটুকু থামতে হবে আর কোথায় থামলে অর্থ ঠিক থাকবে না। আগে কুরআন মজিদে এই চিহ্নগুলো দেওয়া ছিল না। যিনি সর্বপ্রথম এ চিহ্নগুলো ব্যবহার করেন তার নাম আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে তাইফুর।

ওয়াক্ফ বা বিরামচিহ্নের বিবরণ :

= একে 'ওয়াক্ফ তাম' বলে। জায়াতের শেষে এ চিহ্ন থাকে। যেখানে শুধু এ চিহ্ন থাকে সেখানে আমরা অবশ্যই নামব। কিন্তু এর ওপর অন্য কোনো চিহ্ন থাকলে তখন আমরা সে অনুযায়ী আমল করব।

= একে ‘ওয়াক্ফ লাজিম' বলে। এরূপ চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্ফ করা আবশ্যক, না করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ বিকৃত হয়ে যেতে পারে।

-একে ‘ওয়াক্ফ মুতলাক বলে। এরূপ চিহ্নিত স্থানে বিরতি উত্তম।

- একে ‘ওয়াক্ফ জায়েজ' বলে। এখানে থামা ও না থামা উভয় অনুমতি আছে। তবে থামাই ভালো।

= একে 'ওয়াক্ফ মুজাওয়াজ' বলে। এখানে না থামাই ভালো ।

= একে “ওয়াক্ফ মুরাখখাস' বলে। এরূপ চিহ্নিত স্থানে না থেমে মিলিয়ে পড়া ভালো । তবে দমে না কুলালে থামা যায়।

-এখান থামার ব্যাপারে মতভেদ আছে। থামবে না।

- এখানে থামা উচিত।

-এখানে থামা যাবে না। আয়াতের মাঝখানে থাকলে থামা যাবে না। আর জান্নাতের শেষে গোল চিহ্নের ওপর থাকলে ঘামা যাবে।

পরিকল্পিত কাজ : শিক্ষার্থীরা দলে ওয়াক্ফ বা বিরাম চিহ্নের বিবরণসহ একটি তালিকা তৈরি করে পোস্টার পেপারে লিখবে।

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...